আনা ফ্রাংক। ১৯২৯ সালের ১২ জুন জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টে মেইনগাউ রেড ক্রস হাসপাতালে জন্ম গ্রহণ করেন। কিন্তু তার জীবনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে নেদারল্যান্ডসের আমস্টারডামে। জাতীয়তায় ১৯৪১ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন একজন জার্মান। নাৎসি জার্মানির সেমিটিক বিদ্বেষী নীতির কারণে তিনি তার জার্মান নাগরিকত্ব হারান। তিনি আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি লাভ করেছেন তাঁর দিনলিপির জন্য, যেখানে তিনি নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালীন তার অভিজ্ঞতাগুলোকে লিখে রেখেছিলেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সময়কার তার দিনলিপি এখনও পর্যন্ত বিশ্বের অন্যতম সর্বাধিক পঠিত বই এবং অনেক চলচ্চিত্র ও নাটকের মূল বিষয় হিসেবে গৃহীত। বইয়ের নাম দ্য ডায়েরি অফ আ ইয়াং গার্ল। বাংলায় এটি আনা ফ্রাঙ্কের ডায়েরি নামে অনূদিত হয়। বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী সময়ে তার বাবার উদ্যোগে প্রথমে...
একটি বিশ্বযুদ্ধ যে কিশোরীকে বিশ্বখ্যাতি দিয়েছিল
সিমিন হোসেন

ইরাবতী
কুসুম তাহেরা

কুসুম তাহেরা ১. সন্ধ্যা সাতটা বেজে ত্রিশ মিনিট। টিভি স্ক্রিনে ভেসে উঠেছে খবরের পরিচিত গ্রাফিক্স। শুভ সন্ধ্যা দারুণ পেশাদার ভঙ্গিতে বলল ইরা, আপনাদের সঙ্গে রয়েছি আমি, ইরা রহমান। এবার আপনারা দেখবেন চ্যানেল বায়ান্নর বিশেষ বুলেটিন বাংলার ভিতর বাংলা। প্রথমেই দেখে নিই আজকের শিরোনাম। স্ক্রিনে ফুটে উঠল বিবর্ণ এক দৃশ্য, আর ইরার কণ্ঠে শোনা গেল আজ সন্ধ্যায় যাত্রাবাড়ি হাইওয়েতে এক মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় একই পরিবারের চারজন প্রাণ হারিয়েছেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। পনের মিনিটের বুলেটিন,বাংলার ভিতর বাংলা, শেষ হলো যথাসময়ে। ইরাকে দ্রুত ফ্লোর ছাড়তে হল। মেকআপ রুমে ঢুকে শাড়ি খুলে পরে ফেলল জিনস আর কুর্তি। শাড়ি পরার ঝামেলা সে কখনোই পছন্দ করে না, কিন্তু সন্ধ্যার সংবাদে শাড়ি বাধ্যতামূলকচ্যানেল হেডের স্পষ্ট নির্দেশ। ২. ইরার সামনে এখনও অনেকটা...
বর্ষা-ক্ষত
পলি শাহীনা

গত কয়েকদিন ধরে প্রকৃতির শিরা বেয়ে একটানা বৃষ্টি ঝরছে। দিনগুলো যেনো এক অতলান্ত অন্ধকারে ডুবে আছে। বর্ষার বৃষ্টি কী ভীষণ মায়া, কী গভীর স্পর্শ, তবুও রেবার বড় তৃষ্ণা লাগে। কী এক গভীর বেদনায় ওর শরীর দুলে ওঠে। সূর্যের মুখ দেখা না গেলেও ভ্যাপসা গরম লাগছে। রেবা গায়ের শালটা খুলে কাঠের আলনায় তুলে রাখে। হাতের কাছে রাখা শীর্ষেন্দুর শ্রেষ্ঠ গল্প বইটি চোখের সামনে মেলে ধরে। বৃষ্টিতে নিশিকান্ত - গল্পটির প্রথম লাইন কেচ্ছা কেলেংকারির মতো বৃষ্টি হচ্ছে কদিন লাইনটি পড়ে ও আকাশের দিকে তাকায়। আকাশের দিকে তাকিয়ে বৃষ্টির গতির সঙ্গে কেচ্ছা কেলেংকারির সম্পর্ক কেমন? বোঝার চেষ্টা করে। চরাচর ব্যাপি বৃষ্টির গতি কেলেংকারির মত দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে। লেখক বোধহয় এমন ভাবনা হতেই এমন বাক্য লিখেছেন। লেখকের ভাবনার সঙ্গে কিছুটা যুক্ত হতে পেরে মনে মনে ও খুশি হয়। জমাট মেঘে ঢাকা...
সায়েমা চৌধুরীর ৩ কবিতা
সায়েমা চৌধুরী

আমি খনা হতে পারিনি আমি চুপ থাকি দেখেই ভেব না যে মেনে নিচ্ছি, আমার এ মৌনতাকে সম্মতি বলে ধরে নিও না তুমি; আমি চুপ থাকি কারণ - আমি খনা হতে পারিনি, সে অপেক্ষায় থেকেই আমি জিভের শক্তি বাঁচিয়ে রাখি। আমি একদিন বলতে শুরু করবো সবকিছু সব বঞ্চনার কথা; যেদিন আমার জিভ কেটে নিলেও পৃথিবীর নীল আকাশে অপ্রতিরোধ্য স্বরের প্রতিধ্বনি ভেসে যাবে আমি থেকে লক্ষ-কোটি আমরায়। প্রত্যুত্তর মেয়ে, তুমি কবিতা লিখতে যেও না, নিন্দেমন্দ শুনবে সকাল-সাঁঝেতে। মেয়ে, তুমি স্বাধীন ভাবনা ভেবো না, শক্ত শেকল জড়াবে তোমার পায়েতে। মেয়ে, তুমি পরিচয় কোন চেও না, লীন হবে তুমি কন্যা-জননী-জায়াতে। মেয়ে, তুমি স্বপ্ন বিভোর হয়ো না, ঝরবে রুধির বিন্দু বিন্দু - ললাটে। মেয়ে, তুমি সদর পেরুতে যেও না, থুবড়ে পড়বে রক্তচক্ষু কপাটে। মেয়ে, তুমি জীবন থাকতে মর না! ঘুরে দাঁড়াও, হান আঘাত, কষ পিতৃতন্ত্রে চপেটাঘাত সপাটে।...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর