নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) লোহা ও রৌপ্য মিশ্রিত একটি আংটি পরিধান করতেন। ওই আংটি তিনি পরতেন বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙুলে। পুরুষরা আংটি পরিধান করলে তা কনিষ্ঠ আঙুলে পরা উত্তম। আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত রয়েছে তিনি বলেছেন নবিজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এ আঙুলে আংটি পরতেন, এ কথা বলে তিনি বাম হাতের কনিষ্ঠ আঙ্গুলের দিকে ইশারা করেন। (সহিহ মুসলিম) আরকটি বর্ণনায় এসেছে, লোকেরা আনাসকে (রা.) আল্লাহর রাসুলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আংটির ব্যাপারে প্রশ্ন করলে, তিনি বললেন, আমি যেন এখনও তার রূপার তৈরি আংটির উজ্জ্বল্য অবলোকন করছি। এ কথা বলে তিনি তার বাম হাতের কনিষ্ঠ অঙুল ওঠালেন। (সুনানে নাসাঈ) পুরুষদের জন্য তর্জনি বা মধ্যমা আঙুলে আংটি পরিধান করা অনুত্তম। আলী (রা.) বলেন, আল্লাহর রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাকে তর্জনি ও মধ্যমা আঙুলে আংটি...
যে আঙুলে আংটি পরতে নিষেধ করেছেন রাসুল (সা.)
অনলাইন ডেস্ক

মুসলিম বাংলার আভিজাত্যের প্রতীক
আবরার আবদুল্লাহ

হাম্মামখানা উচ্চারণ করলেই কল্পনায় তুর্কি সুলতান বা মোগল সম্রাটদের কথা। যেন কোনো সুরম্য প্রাসাদের নয়নাভিরাম দৃশ্য। ফার্সি হাম্মাম শব্দটি আরবি হাম্মুন শব্দ থেকে নেওয়া। অর্থ উষ্ঞ বা গরম। সে হিসেবে হাম্মামখানা অর্থ গরম পানির স্থান। কিন্তু মুসলিম সভ্যতায় হাম্মামখানা বলতে সাধারণ গোসলখানা বা গোসলের স্থানকে বোঝায়। মুসলিম সমাজে হাম্মামের প্রচলন তুর্কিদের মাধ্যমে হয়েছিল। দীর্ঘকাল পর্যন্ত তা ছিল আভিজাত্যের প্রতীক। তবে মুসলিম ইতিহাসে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হাম্মামখানার বর্ণনাও পাওয়া যায়। বিশেষত তুর্কি নগরগুলোতে অর্থের বিনিময়ে উন্নত গোসলখানা ব্যবহারের সুযোগ ছিল। বাংলা অঞ্চলে মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এখানে হাম্মাম সংস্কৃতির আগমন ঘটে। বাংলায় স্থাপত্যের বিকাশ ঘটে মধ্যযুগের শেষভাগে। সুলতানি ও মোগল যুগে যার ব্যাপক উত্কর্ষ...
কোরআন পাঠের সময় মুমিনের অভিব্যক্তি
মো. আবদুল মজিদ মোল্লা

পবিত্র কোরআন তিলাওয়াত আল্লাহর সঙ্গে কথোপকথন। তাই মুমিনের উচিত কোরআন তিলাওয়াতের সময় বাহ্যিক ও আভ্যন্তরীণভাবে নিজেকে আল্লাহর জন্য প্রস্তুত করা। বাহ্যিক প্রস্তুতি হলো পবিত্রতা অর্জন করা, মুখের পরিচ্ছন্নতা, পবিত্র স্থানে বসা, কেবলামুখী হয়ে বসা, বিশুদ্ধভাবে তিলাওয়াত করাসহ অন্যান্য শষ্টিাচার রক্ষা করা। আর অন্তরের প্রস্তুতি হলো একাগ্রতা, বিনয়, বিনম্রতা ও আল্লাহমুখী হওয়া। কোরআন পাঠের প্রভাব কোরআন পাঠ মুমিনের অন্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করে। যা তার বাহ্যিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গেও প্রকাশ পায়। মহান আল্লাহ বলেন, Èআল্লাহ অবতীর্ণ করেছেন উত্তম বাণী সম্বলিত কিতাব যা সসমঞ্জস এবং যা পুনঃ পুনঃ আবৃত্তি করা হয়। এতে, যারা তাদের প্রতিপালককে ভয় করে, তাদের গাত্র রোমাঞ্চিত হয়, অতঃপর তাদের দেহমন বিনম্র হয়ে আল্লাহর স্মরণে ঝুঁকে পড়ে। (সুরা ঝুমার, আয়াত : ২৩) আবদুল্লাহ বিন...
রাত্রিকালীন কিছু কুসংস্কার
হাদি-উল-ইসলাম

ইসলামপূর্ব আরবে অনেক ধরনের কুসংস্কার ও অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত ছিল। রাসুলুল্লাহ (সা.) কোরআন-সুন্নাহর শিক্ষার মাধ্যমে সমাজ থেকে সব কুসংস্কার দূর করেন। আরবরা গুরুত্বপূর্ণ কোনো কাজে বের হওয়ার আগে পাখি ওড়াত, পাখিটি উড়ে ডান দিকে গেলে যাত্রা শুভ মনে করত, আর বাম দিকে গেলে অশুভ মনে করত। কারো বাড়িতে পেঁচা বসলে মনে করত গৃহবাসীদের নিকটতম কারো মৃতু্য হবে অথবা ঘর বিরান হয়ে যাবে। নবী করিম (সা.) বলেন, এসব কুলক্ষণের কোনো বাস্তবতা নেই। (বুখারি, হাদিস : ৫৭০৭) ইসলামী জ্ঞানের অভাবে আমাদের সমাজেও নানা কুসংস্কার ছড়িয়ে আছে। অনেক এলাকায়ই রাতকেন্দ্রিক কিছু অহেতুক বিশ্বাস প্রচলিত আছে। নিচে এর কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো, যেমন- * রাতে নখ, চুল, দাঁড়ি, গোঁফ ইত্যাদি কাটতে নেই। * রাতে আয়না দেখতে নেই। * ঘরের ময়লাপানি রাতে বাইরে ফেললে সংসারে অমঙ্গল হয়। * রাতে বাঁশ কাটা যাবে না। * রাতে...
সর্বশেষ
সর্বাধিক পঠিত
সম্পর্কিত খবর