ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন পক্ষপাতমূলক আচরণ করেছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখা বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি এস এম ফরহাদ।আজ বুধবার (১৮ জুন) দিবাগত রাতে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, গঠনতন্ত্র সংস্কারে ছাত্রদলের প্রস্তাবনাগুলোকেই অন্যদের তুলনায় অধিক গুরুত্ব দিয়েছে প্রশাসন। তিনি লিখেছেন, শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল সময়োপযোগী নারী ও সমতা এবং ধর্ম ও সম্প্রীতি বিষয়ক সম্পাদক পদ সংযোজনের। ছাত্রশিবির এসব যৌক্তিক প্রস্তাব দিলেও গুরুত্ব পায়নি। অথচ ছাত্রদল প্রস্তাবিত বেশ কিছু নতুন সম্পাদক পদ গঠনতন্ত্রে জায়গা করে নিয়েছে। তিনি আরও লিখেন, সংসদের মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার পর কত দিনের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে তা নিয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা যুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছিলাম।...

গণতন্ত্র মানে সরকার জনগণের, জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা এর মানে সরকার প্রশ্নের ঊর্ধ্বে নয় বলে জানিয়েছেন কলামিস্ট ও সাংবাদিক আনিস আলমগীর। আজ বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান। ফেসবুক পোস্টে আনিস আলমগীর লেখেন, রাষ্ট্রের ভেতরে সংগঠিত যেকোনো অন্যায়, দুর্নীতি বা জনবিরোধী কাজ সম্পর্কে নির্ভয়ে সরকারপ্রধানকে প্রশ্ন করার, সমালোচনা করার অধিকার একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের প্রাণ। এই অধিকার যদি নাগরিকের থাকে, তাহলে বুঝে নিতে হবে গণতন্ত্র এখনও বেঁচে আছে। আর যদি শাসকের সমালোচনা করলেই ভয়, মামলা কিংবা হামলার মুখোমুখি হতে হয়, তবে বুঝতে হবে গণতন্ত্রের মুখোশ আছে, কিন্তু প্রাণ নেই তিনি বলেন, এখন কেউ যদি বলে ড. ইউনূস চান বা না চান, তার শাসনামলে মব সংস্কৃতির বিস্তার ঘটেছে, যার পরিণতিতে ক্ষমতা পরিবর্তনের পর হিংসার শিকার ব্যক্তিরা...

ঘুরি যদি তাকাস, তাইলে গুলি মাইরব এভাবেই গুলি করার ভয় দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিককে বিএসএফ বাংলাদেশে পুশইন করছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। আজ মঙ্গলবার (১৭ জুন) রাত সোয়া আটটার দিকে ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি কথা বলেন। এনসিপি সদস্যসচিব পোস্টে লেখেন, ঘুরি যদি তাকাস, তাইলে গুলি মাইরব এভাবেই গুলি করার ভয় দেখিয়ে ভারতীয় নাগরিককে বাংলাদেশে পুশ করছে ভারতীয় বিএসএফ। সম্প্রতি ভারতের বিভিন্ন প্রদেশ থেকে বাংলাভাষী (বিশেষত মুসলিমদের) ধরে এনে জোর করে বাংলাদেশে পুশ করছে। এই পুশইন বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি। একইসঙ্গে সাধারণ মানুষদের মানবাধিকার লঙ্ঘনও। মানুষকে তাদের ভাষাগত, ধর্মগত পরিচয়ের জন্য রাষ্ট্রহীন করা চূড়ান্ত অন্যায়। আমরা বাংলাদেশ সরকারকে এই অবৈধ পুশইনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাই।...

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের থ্রি জিরো (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত হলেও তার শাসমনামলে এর উল্টো ঘটেছে বলে মন্তব্য করেছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। তিনি বলেন, গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তার থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তার একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক। গতকাল সোমবার (১৬জুন) এক গোলটেবিল বৈঠকে যোগ দিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন। অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্যে বৈষম্যহীন বাংলাদেশের একটা স্বপ্ন বা প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। বৈষম্যের জায়গাগুলোকে অ্যাড্রেস না করে কি গণতন্ত্রের পথে যাওয়া সম্ভব? বৈষম্যহীন পথে যাওয়ার পথ ও পদ্ধতির সঙ্গে একমত...